পাচার হওয়ার আগেই পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের তৎপরতায় উদ্ধার করা হয়েছে বাংলাদেশি ৩ নারী। গতকাল সোমবার পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগণা থেকে তাদের উদ্ধার করা হয়। বাংলাদেশের এই তিন নারীকে কাজ পাইয়ে দেবার কথা বলে সীমান্ত পার করে ভারতের এক দালালের হাতে তুলে দেয়া হয়। তবে নারী তিনজনকে নিয়ে উত্তর ২৪ পরগণার গাইঘাটায় আসার পর সেই দালাল হঠাৎ উধাও হয়ে যায়। এরপরেই সেই তিন নারীকে ইতস্তত ঘুরতে দেখে স্থানীয়দের সন্দেহ হলে তারা পুলিশে খবর দেন। পুলিশ তৎপরতার সঙ্গে তাদের উদ্ধার করে।
উদ্ধারকৃত তিন নারীর হলেন নার্গিস কাজী (২০), সোনিয়া খাতুন (২১) এবং রেশমা বেগম (২৭)। তারা জানিয়েছেন, বাংলাদেশের এক ব্যক্তি ভারতে কাজের প্রতিশ্রুতি দিয়ে চোরাইপথে তাদের ভারতে নিয়ে যান। পশ্চিমবঙ্গে নেয়ার পর ওই ব্যক্তি অন্য এক ব্যক্তির হাতে তাদের তুলে দেন। এরপর এই এলাকায় আসার পর ওই ব্যক্তি হঠাৎই উধাও হয়ে যান। গতকালই তিন জনকে আদালতে তোলা হলে তাদের হোমে পাঠানো হয়। বাংলাদেশ থেকে দরিদ্র পরিবারের নারীদের কাজের প্রলোভন দেখিয়ে ভারতে নিয়ে যাবার জন্য একটি চক্র সক্রিয় রয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। পুলিশ আরো জানিয়েছে, এই সব নারীদের ভারতের বিভিন্ন জায়গায় নিষিদ্ধ পল্লীতে বিক্রি করে দেয়া হয়। একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার মতে, প্রতিবছর বাংলাদেশ থেকে কয়েক হাজার কিশোরী ও নারী পাচার হয়ে ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে বিক্রি হয়ে যাচ্ছে।